ছোট্ট একটি টেস্ট দিয়ে এই বিপদ দ্রুত চিহ্নিত করুন


ছোট্ট একটি টেস্ট দিয়ে এই বিপদ দ্রুত চিহ্নিত করুন







মাঘ মাস মানেই শীত একটু একটু করে জাকিয়ে বসবে। আচমকা হার্ট অ্যাটাক- স্ট্রোকের সংখ্যাও যেন একটু বেড়ে যায়।কান পাতলেই একটা না একটা মৃত্যু সংবাদ!
অথচ, একটা সহজ রক্ত টেস্ট করলেই মুশকিল আসান। এই বিপদ দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব।সহজ হবে ভবিষ্যতের বিপদ ঠেকাতে।খাদ্যাভাস পাল্টে দিয়ে সহজে সম্ভব।খেতে হবে বেশি ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড,ভিটামিন বি ১২ জাতীয় শাক সব্জি আর মাছ।ব্যাস আর কিছু নয়।
কী করতে হবে?

টেস্ট করতে হবে শরীরে কত মাত্রায় একটি বিশেষ অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে।হোমোসিসটিন। HOMOCYSTEINE। মাত্রায় বেশী থাকলেই সতর্ক হতে হবে। এমনকি রক্ত চাপ স্বাভাবিক।লিপিড পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও। অশনি সংকেত এই বিশেষ অ্যামাইনো অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকা।হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।স্ট্রোক।
কে বলছেন?
নওয়াল সিং শেখাওয়াত।বর্তমানে আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সায়ন্স কলেজে গবেষণারত। পুণের আর্মড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী।এছাড়া এই তত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় হাত মিলিয়েছেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর টক্সিকোলজি।বিগত কয়েক বছর এ ভাবে টেস্ট করে বহু রোগী বাঁচিয়েছেন।
কী বলছেন নওয়াল?
বিপদ সকালের সময় বেশি।প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার সময়।যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি।বিপদ ঠেকাতে তাই, বেশি করে সবুজ শাক সবজি আর সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি।গবেষণা সম্পর্কে উচ্ছসিত নওয়ালের উপদেষ্টা অরুণ চৌধুরী।তিনি নিউরোগ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট।প্রবাসী বাঙালি।
বললেন,এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বহু মুমুর্ষুকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথের এই অংশকে স্ট্রোক বেল্ট বলা হয়।তাই দ্রুত রোগিকে চিহ্নিত করে বাঁচাতে এই কৌশল খুব কাজে লাগছে।

মায়ের রক্তোচ্চাপ দেখেই বুঝা যাবে সন্তান ছেলে না মেয়ে



মায়ের রক্তোচ্চাপ দেখেই বুঝা যাবে সন্তান ছেলে না মেয়ে









অন্তঃসত্তা হওয়ার আগে মায়ের রক্তোচ্চাপই নির্ধারণ করে দেবে শিশুর লিঙ্গ। টরোন্টর মাউন্ট সিয়ানি হাঁসপাতালের গবেষ্পকরা এমনই মনে করছেন। রক্তচ্চাপের মাত্রার উপরই নির্ভর করবে পুত্র সন্তান হবে নাকি কবন্যা সন্তান হবে। অন্তঃসত্তা হওয়ার আগে মায়ের রক্তচ্চাপ মাত্রা যদি কম হয় তাহলে, কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। উল্টোদিকে যফি রক্তচ্চাপ মাত্রা বেশী থাকে তাহলে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ হাইপারটেনশনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়। শিশুর লিঙ্গের সঙ্গে যে মায়ের রক্তচ্চাপের কোনও সম্পর্ক আছে তা জানা ছিল না বলে জানান গবেষকরা। চিনের যেসমস্ত মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন, তাঁদের উপরই পরীক্ষা চালান এই গবেষকরা। মহিলার বয়স, তিনি ধূমপান করেন কি না, তাঁদের ওজন, মদ্যপান করেন কিনা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় যে, ১৪১১ জন মহিলাদের মধ্যে ৬৭২ জন মহিলা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং ৭৩৯ জন মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা সন্তানের মায়েদের রক্তচ্চাপ নীচের দিকে ছিল বলেই দেখা যায়। উল্টোদিকে পুত্র সন্তাম্নের মায়েদের রক্তচ্চাপ গড়ে ২.৬% বেশী ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে।



কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়


কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায়





নিউজ ডেস্ক: এখন বেশিরভাগ মানুষই কোমরের ব্যথায় কষ্ট পান। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও বিশেষ কোনও উপকার পান না। তবে কিছু জিনিস মেনে চললে এই যন্ত্রণাদায়ক কোমরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন সেগুলি কী কী-
১) প্রত্যেকদিন শারীরিক কিছু কসরত করলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) কোমরের ব্যথা সারাতে স্ট্রেচিং খুবই দরকারি। তাতে কোমর ফ্লেক্সিবেল থাকে। যন্ত্রণাও থাকে না।
৩) শরীর সুস্থ রাখার জন্য উপযুক্ত পরিমানে ঘুম খুবই জরুরি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
৪) একটা নির্দিষ্ট উপযুক্ত ওজন মেনটেন করা প্রয়োজন।

সব দিবসই এখন ভালোবাসা দিবস



সব দিবসই এখন ভালোবাসা দিবস








যখন যে দিবসই থাকুক না কেন শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়ায় ভালোবাসা দিবসে। হোক সে ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস বা পহেলা বৈশাখ। সব দিবসেরই শেষ পরিণতি প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলন মেলা।
এবার মাতৃভাষা দিবসে সকাল থেকে যেমনটা ভিড় ছিলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সময় গড়ানোর সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান ও রেস্টুরেন্টগুলোতে। তাছাড়া সব ফুলও যায়না শহীদ মিনারে।
বেলা বাড়ার সাথে পার্কগুলোতে বাড়ে কপোত-কপোতীদের আনাগোনা। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) এর টিকিট বিক্রেতারা জানান, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ টিকিট বিক্রির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। আর উদ্যানে আসা দর্শনার্থীদের প্রায় সবাই যুগলবন্ধী।

পাশে থাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায়ও কপোত-কপতীদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। এছাড়া রমনা পার্ক, সোহরায়ার্দি উদ্যান, হাতির ঝিল, ধানমন্ডি লেক, বলদা গার্ডেনসহ সব পার্ক ও উদ্যানগুলোতে যুগলদের আনাগোনা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বিকেল বাড়ার সাথে সাথে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, চটপটি -ফুচকার দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে ভিড়। তাই এসব দোকানে বিক্রয়ও হয় ভালোবাসা দিবসের মতো। মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের ফুচকা বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারি হোক আর পহেলা বৈশাখ, এসব দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে তুলনামূলক বেশি। তাই আগের দিনই বেশি খাবার বানানোর প্রস্তুতি নিতে হয়। আর এসব দিনের ক্রেতাদের মধ্যে যুবক-যুবতীরাই বেশি। তবে ছুটির দিন থাকায় অনেকেই পরিবার নিয়েও আসে।
মিরপুরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন দিবসগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি থাকে। কি দিবস সেটা জরুরী না, সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বেড়ানোর সময় পায়।
রমনা পার্কে আসা একজন(মেয়ে) জানান, অন্যান্য দিন বাসা থেকে বের হতে পারেন না। যেহেতু ভাষা দিবস তাই বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অবশ্য ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকালে শহীদ মিনারে ফুলও দিয়েছন তিনি।
অপর একজন জানান, চাকরি করার কারনে সব সময় প্রিয় মানুষটির সাথে দেখা করার সুযোগ পান না। তাই এই দিনে বের হওয়া।


সহজেই ফর্শা হবার তিন উপায়!


সহজেই ফর্শা হবার তিন উপায়!




যদি আপনি আপনার মুখমন্ডল ক্লিন আপ বা অন্য কোন চিকিৎসা নিতে চান তাহলে আপনার কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরী। এটি আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচাতে সাহায্য করবে।
আপনার রান্নাঘরে যে সকল উপাদান আছে সেগুলো দিয়েই তৈরি করা যেতে পারে একটি আশ্চর্যজনক মাস্ক , যা আপনি ১০-১৫ মিনিটের ভিতরে তৈরি করে নিতে পারেন। এসব উপাদান গুলো কঠোর রাসায়নিক থেকে মুক্ত হয় এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত হয়।

১। মধু এবং ডিমঃ এই দুই উপাদান মুখ মাস্ক করার জন্য সুপার সহজ এবং খুব কার্যকরী। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি, যা ত্বকের ভিতর ও বাইরের অংশকেও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ডিম দিয়ে ঝটপট কিছু ব্যবহার্য ফেইসপ্যাক তৈরি করা যায়। সব থেকে সহজ হল, ডিমের সাদা অংশের সাথে হালকা মধু মিশিয়ে ত্বকে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। চাইলে এই মাস্কটি ‘পিল অফ মাস্ক’ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ডিমের সাদা অংশ শুকিয়ে ত্বকের উপর একটি আস্তরণ কাজ করে যা ‘পিল অফ মাস্ক’ এর মত কাজ করে।

২। লেবু এবং দইঃ লেবুর রস এক টেবিল-চামচের সাথে দুই টেবিল-চামচ দই মিশিয়ে ১০ মিনিটের জন্য এই মিশ্রণ আপনার ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ত্বকের স্বাভাবিক রং এবং গাঢ় দাগ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের মসৃণতা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও দইয়ের জুড়ি নেই। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং হবে আরো উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
৩। আপেল সিডার ভিনেগার এবং মধুঃ আপেল সিডার ভিনেগার এবং সাথে দুই টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট এই মিশ্রণ ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন, তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপেল সিডার ভিনেগার ত্বকের pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চামড়া মেরামত করতে সাহায্য করে। মধুতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুনাগুন। মধু দিয়ে নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ব্রণ ইত্যাদি খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠে। নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করলে ত্বক হয়ে উঠে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যবান। মধু দিয়ে নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করলে তা ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

টাকার জন্য শরীরের চামড়া বিক্রি!


টাকার জন্য শরীরের চামড়া বিক্রি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক:অপারেশনের মাধ্যমে স্তনের আকার পরিবর্তন ও গোপনাঙ্গের বৃদ্ধি করার প্রবনতা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রকট। ‘ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট’ বা ‘এনলার্জ’ করার কৃত্রিম এই পদ্ধতিতে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত চামড়ার। তবে কেউ কখনো জানতে চায় না কোথা থেকে আসে এই অতিরিক্ত চামড়া?
সম্প্রতি ‘ইয়ুথ কি আওয়াজ’ নামের একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে গরীব মেয়েদের কাছ থেকে ক্রয় করা হচ্ছে এই চামড়া।
চাঞ্চল্যকর এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নেপালের গরিব নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে চামড়া বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। কসমেটিকসের বাজারে প্রতি ১৩০ স্কোয়ার সেন্টিমিটার বা প্রতি ২০ বর্গ ইঞ্চি চামড়া বিক্রি করা হয় ১০ হাজার টাকায়।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নেপাল থেকে যুবতী, মহিলাদের ভারতের শহরগুলিতে পাচার করা হয়। সেখানে যৌনপল্লিতে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। কয়েক বছর পর ড্রাগ দিয়ে অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের চামড়া বের করা হয়। যা পাঠানো হয় ভারতের বিভিন্ন ল্যাবে। ল্যাবে এই চামড়া প্রক্রিয়াকরণের পর পাঠানো হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে। সেখানেই কসমেটিক সার্জারির কাজে ব্যবহৃত হয় ওই চামড়া।
চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই নরেচড়ে বসেছে নেপাল সরকার। দেশের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী কুমার খাদকা জানিয়েছেন, এই খবর শুনে নেপালের সরকার স্তম্ভিত। সরকার এর তদন্ত করবে এবং দোষীদের শাস্তি দেবে।
নারী ও শিশু পাচার এবং দেহব্যবসার জন্য প্রায়ই নেপাল খবরের শিরোনাম হলেও এই প্রথমই চামড়া পাচারের অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধে। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরই অবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে বিভিন্ন এনজিও।

টেস্টে সেরা অলরাউন্ডার এখন অশ্বিন



টেস্টে সেরা অলরাউন্ডার এখন অশ্বিন






স্পোর্টস ডেস্ক: গত সপ্তাহে টেস্ট অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। এর মাধ্যমে ক্রিকেটের তিন সংস্করণে সেরা অলরাউন্ডার হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাকিব। কিন্তু এবার তিন ভুবনে সাকিবের রাজত্ব টিকল মাত্র পাঁচ দিন। গল টেস্টের ব্যর্থতার দাম চুকিয়ে আবার অশ্বিনকে শীর্ষ স্থান ছেড়ে দিতে হয়েছে সাকিবকে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পয়েন্ট ৪৩৪ অন্যদিকে গল টেস্টের দুই ইনিংসে ২৩ ও ৮ রান এবং প্রচুর রান দিয়ে ৩ উইকেট পাওয়ায় সাকিবের রেটিং পয়েন্ট এখন ৪০৩। তিন নম্বরে আছে ভারতেই রবিন্দ্র জাদেজা। তার পয়েন্ট ৩৬০।
এদিকে টেস্টে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৬২৯ পয়েন্ট নিয়ে তার র‌্যাংকিং এখন ২৯। আর ৮৬৯ পয়েন্ট নিয়ে টেস্টে সেরা ব্যাটসম্যান এখন ক্যান উইলিয়মসন।


মেয়েদের কিছু শারীরিক সমস্যা ও সমাধান!


মেয়েদের কিছু শারীরিক সমস্যা ও সমাধান!




ঢাকা: মেয়েরা সাধারণত একটু লাজুক প্রকৃতির।আর এ কারণেই অধিকাংশ নারীরা বিভিন্ন শারীরি সমস্যায় ভুগলেও তা কাউকে বলে না। তাছাড়া নিজেদের এই শারীরিক সমস্যাকে তাদের লজ্জা হিসেবেই দেখে তারা।
আমাদের দেশের নারীদের এমন হীনমন্যতায় ভোগার কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেক কথাই এসে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য সেদিকে নয়। অনেক সময়েই সঠিক সচেতনতা ও জানার অভাবে অনেক বড় সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। নারীদের এমন সমস্যার সমাধানে আমরা আজ আমাদের নারী পাঠকদের জানাতে চাই তাদের নিয়মিত কিছু শারীরিক সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে।
পিরিয়ড নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হয়ে থাকে। কিন্তু কখনও কখনও এই সময়টাতে হেরফের হতে পারে। কখনও এক সপ্তাহ পরে হতে পারে পিরিয়ড। আবার মাঝে মাঝে একমাস কিংবা আরো বেশি সময় পরও হতে পারে।
নির্ধারিত সময়ে যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে অনেক নারীই দুশ্চিন্তায় থাকেন। বিশেষ করে বিবাহিত নারীরা ঘাবড়ে যান অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ করে ফেলেছেন ভেবে। গর্ভধারণ ছাড়াও অন্য আরো কিছু কারণে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। জেনে নিন কারণগুলো।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম
খুব কঠিন ডায়েট করলে কিংবা কোনও কারণে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও পিরিয়ড বিলম্বিত হতে পারে। বিএমআই যদি ১৮/১৯ এর নিচে হঠাৎ করে নেমে যায় তাহলে পিরিয়ড বিলম্বে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আমাদের গলার নিচে যেই থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে সেটা শরীরের সকল কার্যপ্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি কিংবা কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় তাহলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে এবং এক্ষেত্রে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোনাল সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। ফলে পিরিয়ডে বিলম্ব হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে নারীদের মুখে এবং স্তনের চারিদিকে লোমের আধিক্য বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ

হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হলে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। হঠাৎ করে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পিরিয়ডে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রিয়জনের বিয়োগ, ব্রেকআপ, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিংবা অন্য কোনো বড় ধরণের মানসিক আঘাতের ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে